Skip to main content

একটি আকর্ষণীয় ও স্মার্ট সিভি লেখার কৌশল !


মাত্র অনার্স শেষ করেছেন শাহ্-আলম। এখন চাকরির বাজারে পদার্পনের পালা, তৈরী করতে হবে সিভি বা কারিকুলাম ভিটা, চটজলদি কম্পিউটারের সামনে বসে গেলেন তিনি । কিন্তু বুঝতে পারলেন সিভি লেখা যতটা সহজ মনে করে ছিলেন বাস্তবে ততটা সহজ নয়। তখন চিন্তা করছেন দোকান থেকে ৫ বা ১০ টাকা দিয়ে একটা সি ভি ফরম্যাট কিনে নিলেই চলবে ! মনে রাখবেন, বেশীরভাগ প্রার্থীরা একাজটিই করবে। তার মধ্যে আপনি যদি নিজেকে একটু আলাদা আর একটু স্মার্ট ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনার চান্সটাই বেশী থাকবে। যেমনঃ অনেক গুলো সাদা টি-শার্ট এর মাঝে একটি লাল টি-শার্ট যেমন চোখে পড়ে।

ছোট বেলায় গরু রচনা আমরা সবাই পড়েছি। সেখানে জেনেছি গরুর দুইটি চোখ, দুইটি কান, চারটি পা আছে। বড়বেলায় চাকরি খোঁজার সময় সিভি তৈরি করতে গিয়ে আমরা সেই বিদ্যাটাই যেন একদম ঢেলে দেই। “আমার নাম মোকলেস, হাইট ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, আমি ছেলে, গায়ের রং শ্যামলা, আমি অবিবাহিত, আমার দুটি বোন,একটি ভাই আছে”, কি ভাই? আপনিও লিখেছেন নাকি এসব? দেখে নিন।

দুঃখিত আপনাদের একটু খোঁচা দিয়ে লেখাটা শুরু করার জন্য। শাহ্ -আলমের মত অনেকেই সিভি তৈরী, তার কাঠামো নির্ধারণ, শব্দ চয়ন ও নির্ভুলতা নিয়ে চিন্তিত, তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে কিভাবে একটি সুন্দর ও স্মার্ট সিভি তৈরী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করি।

এবার চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:
“সিভি ইংরেজিতে তৈরী করা ভাল তবে প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুসারে তা বাংলায়ও হতে পারে। ইংরেজিতে সিভি তৈরী করলে লেখার ধরণ টাইমস্ নিউ রোমান-এ রাখবেন, ফন্ট সাইজ হবে ১২ এবং লাইন স্পেস দেবেন ১.৫. সিভির প্রধান শাখাগুলো অবশ্যই চোখে পড়ার মত বোল্ড করে দিবেন।”

সিভির দৈর্ঘ্যঃ
একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না ৷ সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত ৷ তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট ৷ অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে ৷ ফ্রেসার থেকে শুরু করে অন্তত ৮ বছর চাকরি করা পর্যন্ত সিভি হতে হবে ২ পৃষ্ঠার। এরপর ৯-২৫ বছর যাদের চাকরীর বয়স তারা আর একটি পৃষ্ঠা বাড়াতে পারেন।

আগে দর্শন ধারী তারপর গুণবিচারী:
শুরুটা হবে যেভাবে – সিভির প্রথমেই থাকবে সাম্প্রতি তোলা ছবি, যতটা সম্ভব উন্নত পোষাক পরে ছবি তুলবেন ! টাই-স্যুট হলে আরো ভালো হয় ! চিন্তার কিছু নেই, টাই-স্যুট আপনার থাকতে হবে এমন কোনো কথা নয়। প্রযুক্তির এ যোগে ফটোশপ-ই আপনাকে পরিয়ে দেবে !

চলুন দেখে নিই একটি আদর্শ ও সম্পূর্ণ জীবনবৃত্তান্তের (CV) যে যে অংশগুলো থাকে:

-শিরোনাম (Title)
-সার সংক্ষেপ (Career Summary) – অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের জন্য বেশী প্রয়োজন ৷
-ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective) – সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন
-চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience)
-শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education)
-অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information)
-ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)
-রেফারেন্স (Reference)

শিরোনাম (Title):
জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম ৷ এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) ৷ তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস ৷ এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে ৷

সার সংক্ষেপ ( Career Summary ):
যে সকল ব্যক্তিদের ৪-৫ বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য ৷ এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ ৬-৭ লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো ৷ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে) ৷

ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective) – সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন :
একই সিভি চালিয়ে দিচ্ছেন সেলস, মার্কেটিং, ব্রান্ডিং, একাউন্ট যে কোন চাকরীর জন্য। ভাই, আপনি জীবনে কি হতে চান আগে সময় নিয়ে ভাবুন। সিভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ক্যারিয়ার প্লান। সঠিকভাবে সেটি গুছিয়ে লিখুন। আপনি কি গন্তব্য না জেনেই যাত্রা করছেন? অনেকে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভের মধ্যে “Seeking”, “Need”, “Looking for Position”, “Good Organization” এই সব ওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এগুলো মারাত্মক ভুল। অবজেক্টিভ হতে হবে শুধুই কাজ করার মেন্টালিটি। চাই, প্রয়োজন, দেন, খুঁজছি এগুলো দুর্বলদের কথা।

চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience) নতুনদের জন্যে:
মহাঝামেলা, আমি তো ফ্রেশার। মাত্র পাস করলাম। আমি এক্সপেরিয়েন্স পাবো কই?
আপনি গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন ২৫ বছর বয়সে। এই ২৫ বছরে কি আপনার অভিজ্ঞতা হয়নি? আপনি কি আপনার বোনের বিয়ের আয়োজন করেননি? তাহলে আপনি কেন একটা কোম্পানির নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে পারবেন না? আপনি কি ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে যাননি, তাহলে কেন আপনি প্রোডাক্ট লিফলেট বিতরণ করতে পারবেন না?
আপনি কি ছাত্রাবস্থায় পিকনিক করেননি, তাহলে কেন আপনি কোম্পানির হয়ে ইভেন্ট আয়োজন করতে পারবেন না? আপনি কি গ্রাজুয়েশনের ৪টা বছর নিয়মিত ল্যাব রিপোর্ট, পেপার তৈরি করেননি, তাহলে কেন আপনি কোম্পানির জন্য রিপোর্ট করতে পারবেন না? আপনি কি গ্রুপে রিপোর্ট তৈরি করেননি, তাহলে কেন আপনি টিম ওয়ার্কার নন? আপনি কি কোথাও ঘুরতে যাননি, তাহলে কেন আপনি ওয়েল কম্যুনিকেটর নন? ভেবে দেখুন, সবকিছু আপনার মধ্যেই আছে। শুধু জায়গামত ব্যবহার করতে পারছেন না।

আপনার কাছ থেকে একজন ইন্টারভিউয়ার কিন্তু এসবই শুনতে চান। যিনি ভালো গান জানে, তিনি একজন ভালো বক্তা, উপস্থাপক ও প্রেজেন্টর। যিনি নাচ জানেন, তিনি খুবই পরিশ্রমী ও উদ্যমী। যিনি আর্ট জানেন, তিনি খুবই ধৈর্যশীল। এগুলোই আপনার গুণ। ছাত্রাবস্থায় ৫৫% সময় পড়াশোনার পিছনে আর ৪৫% সময় নেটওয়ার্ক তৈরিতে কাজে লাগান। ফ্রেশাররা অভিজ্ঞতা শূন্য নন। তাদের ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। তারা ১০ বছর স্কুলে পড়েছেন, ২ বছর কলেজে, ৪ বছর গ্রাজুয়েশন ও ২ বছর মাস্টার্স। দিনগুলো তো আর এমনি এমনি কাটেনি? ২৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাকে দুই পেজে আপনার সিভিতে ফুটিয়ে তুলুন। আপনি অভিজ্ঞতা শূন্য নন। আপনার চাকরি হবেই। ইন্টার্নশিপ আথবা ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট থাকলে সেগুলো লিখুন।

চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience) চাকরিজীবীদের জন্যে:
এটা লেখা বেশ কঠিন। এখানে আপনাকে তুলে ধরতে হবে আপনার পারদর্শিতা, আপনার সাফল্য, কর্মদক্ষতা। আপনি কি করেছেন? কতটা নিঁখুতভাবে করেছেন? কতটা কম সময়ে করেছেন? কতটা কম বাজেটে করেছেন? কত জনের টিম নিয়ে কাজ করেছেন? কত টাকা কোম্পানির সেভ করেছেন? এভাবে আপনাকে কাজের ফিরিস্তি লিখতে হবে।
মনে রাখবেন এক বছর ক্লাস করা একজন ছাত্রের নিত্যদিনের কাজ, কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়াটা তার সাফল্য। তেমনি, আপনারাও নিত্যদিনের কাজ এবং সাফল্যকে আলাদা ভাবে তুলে ধরুন সিভির মধ্যে। পাওয়ারফুল ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। গুগোল করলেই সিভির জন্য পেয়ে যাবেন অনেক পাওয়ারফুল ওয়ার্ড।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ (Education & Training):
আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ ৷ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন ৷
– ডিগ্রির নাম (যেমন: SSC, HSC, BCom)
– কোর্স সময়কাল (কবে থেকে কবে)
-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের নাম ৷
-পরীক্ষার বছর এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রকাশের সময় ৷
-ফলাফল/Result এবং যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য (যেমন: মেধাতালিকায় স্থান) থাকে তবে তার উল্লেখ করতে হবে ৷
*Experience-এর মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন ৷
লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন ৷ কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন ৷ কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result-ই উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা ও অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু ৷
আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন ৷ সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন ৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন ৷

অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information):
যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা এ বিভাগে বর্ণনা করুন ৷
-পেশাগত অর্জন / Professional Achievement
-পদক/ সম্মাননা/ Award.
-ভাষাগত দক্ষতা / Language Literacy
– কম্পিউটারে দক্ষতা / Computer Skills.
-লাইসেন্স,সরকারি পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা ও সত্বাধিকার
-স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড ইত্যাদি

ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information):
অনেকে বিদেশি কোম্পানিতে সিভি পাঠান, কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি আপনাকে তারা কীভাবে কানেক্ট করবে? আপনার ফোন নম্বরের সঙ্গে আপনি তো কান্ট্রি কোডই দেননি। কী লাভ হল সিভি পাঠিয়ে? আপনি সিভি দিয়েছেন কুয়েতে। ইন্টারভিউ দিতে কি কুয়েতই যাবেন? স্কাইপি আইডিটা আজই সিভিতে দিন প্লীজ। মনে রাখবেন আপনার পিতার নাম রমজান হোক আর রহিম হোক তার সাথে চাকরীর কোন সম্পর্ক নেই। চাকরিদাতা খুঁজছে কাজের লোক। যারা জব পোর্টালে সিভি তৈরি করে রেখেছেন, আপডেট করুন সব সময়। লিঙ্কড ইনে একটিভ হোন। এন্ডোর্সমেন্ট বাড়ান।

রেফারেন্স (Reference):
রেফারেন্স হিসেবে কখনোই আত্মীয় স্বজনকে রাখবেন না। আপনার কোন শিক্ষক অথবা কর্মস্থলে আপনার সিনিয়র কাউকে রাখতে পারলে ভালো হয়। যাদেরকেই রাখুন না কেন অনুমতি নিয়ে নিন। সিভিতে কখনোই ভুল তথ্য দিবেন না।

Comments

Popular posts from this blog

পড়া মনে রাখার সহজ ও বৈজ্ঞানিক কিছু কৌশল !

মানুষের মস্তিষ্কের দুটি দিক রয়েছে। একটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, অন্যটি পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের আবার অনেক ভাগ। এর সঙ্গে রয়েছে নানা রকম কাজ। তার একটি হলো মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি। পৃথিবীতে বেশি আইকিউ নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। তাদের ব্যবহারিক আচরণের ওপর নির্ভর করে বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ। যত চর্চা করা যাবে, আইকিউ ততই বাড়বে। সাধারণ আইকিউ ৯০ থেকে ১১০। তবে কারো কারো আইকিউ ১১০-এর ওপরে হতে পারে। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির আইকিউ ১১০-এর ওপরে। এ আইকিউ বৃদ্ধির জন্য চর্চার বিকল্প নেই। চর্চার মাধ্যমেই একজন ছাত্র সাধারণ থেকে মেধাবী হতে পারে। মনে রাখতে না পারার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়তে বসার আগে ১০ মিনিট হাঁটা: পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, পড়ার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ পরিমাণ বেড়ে যায়। তাহলে একটু হাঁটার পরেই শুরু হোক পড়ালেখা

লিওনেল মেসির বিশ্ব সেরা "মেসি" হয়ে উঠার কিছু জানা-অজানা কথা!

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যুগে যুগে যেসমস্ত মহান ব্যক্তিরা পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন, তাঁদের জীবনের শুরুটা মোটেই সহজ ছিলোনা। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে তাঁদেরকে সামনে এগিয়ে চলতে হয়েছে। তেমনি আজকে যাকে নিয়ে আলোচনা করবো তিনি হলেন বর্তমান সময়ের বিশ্ব সেরা ফুটবলার "লিওনেল আন্দ্রেস মেসি" যাকে আমরা মেসি নামেই চিনি।  মেসির এই মেসি হয়ে ওঠার গল্পটি কিন্তু এত মধুর ছিলনা। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার এক শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন মেসি। তার বাবা একটি স্টিল কারখানায় কাজ করতেন এবং তার মা ছিলেন একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। শৈশব থেকেই মেসির ফুটবল খেলার ঝোঁক এবং ভিন্নধর্মী খেলার ধরণ সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে। কিন্তু মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর এক প্রকার গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি দেখা দেয়। এ রোগের প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়। চিকিৎসা নিতে প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার ডলার প্রয়োজন ছিল, ওই মুহুর্তে মেসির পরিবারের ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য ছিলনা। স্থানীয় একটি ফুটবল ক্লাব, রিভার প্লেট, মেসিকে দলে নিতে আগ্রহী থাকলেও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ক