Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2017

লিওনেল মেসির বিশ্ব সেরা "মেসি" হয়ে উঠার কিছু জানা-অজানা কথা!

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যুগে যুগে যেসমস্ত মহান ব্যক্তিরা পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন, তাঁদের জীবনের শুরুটা মোটেই সহজ ছিলোনা। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে তাঁদেরকে সামনে এগিয়ে চলতে হয়েছে। তেমনি আজকে যাকে নিয়ে আলোচনা করবো তিনি হলেন বর্তমান সময়ের বিশ্ব সেরা ফুটবলার "লিওনেল আন্দ্রেস মেসি" যাকে আমরা মেসি নামেই চিনি।  মেসির এই মেসি হয়ে ওঠার গল্পটি কিন্তু এত মধুর ছিলনা। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার এক শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন মেসি। তার বাবা একটি স্টিল কারখানায় কাজ করতেন এবং তার মা ছিলেন একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। শৈশব থেকেই মেসির ফুটবল খেলার ঝোঁক এবং ভিন্নধর্মী খেলার ধরণ সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে। কিন্তু মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর এক প্রকার গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি দেখা দেয়। এ রোগের প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়। চিকিৎসা নিতে প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার ডলার প্রয়োজন ছিল, ওই মুহুর্তে মেসির পরিবারের ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য ছিলনা। স্থানীয় একটি ফুটবল ক্লাব, রিভার প্লেট, মেসিকে দলে নিতে আগ্রহী থাকলেও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ক

একটি আকর্ষণীয় ও স্মার্ট সিভি লেখার কৌশল !

মাত্র অনার্স শেষ করেছেন শাহ্-আলম। এখন চাকরির বাজারে পদার্পনের পালা, তৈরী করতে হবে সিভি বা কারিকুলাম ভিটা, চটজলদি কম্পিউটারের সামনে বসে গেলেন তিনি । কিন্তু বুঝতে পারলেন সিভি লেখা যতটা সহজ মনে করে ছিলেন বাস্তবে ততটা সহজ নয়। তখন চিন্তা করছেন দোকান থেকে ৫ বা ১০ টাকা দিয়ে একটা সি ভি ফরম্যাট কিনে নিলেই চলবে ! মনে রাখবেন, বেশীরভাগ প্রার্থীরা একাজটিই করবে। তার মধ্যে আপনি যদি নিজেকে একটু আলাদা আর একটু স্মার্ট ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনার চান্সটাই বেশী থাকবে। যেমনঃ অনেক গুলো সাদা টি-শার্ট এর মাঝে একটি লাল টি-শার্ট যেমন চোখে পড়ে। ছোট বেলায় গরু রচনা আমরা সবাই পড়েছি। সেখানে জেনেছি গরুর দুইটি চোখ, দুইটি কান, চারটি পা আছে। বড়বেলায় চাকরি খোঁজার সময় সিভি তৈরি করতে গিয়ে আমরা সেই বিদ্যাটাই যেন একদম ঢেলে দেই। “আমার নাম মোকলেস, হাইট ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, আমি ছেলে, গায়ের রং শ্যামলা, আমি অবিবাহিত, আমার দুটি বোন,একটি ভাই আছে”, কি ভাই? আপনিও লিখেছেন নাকি এসব? দেখে নিন। দুঃখিত আপনাদের একটু খোঁচা দিয়ে লেখাটা শুরু করার জন্য। শাহ্ -আলমের মত অনেকেই সিভি তৈরী, তার কাঠামো নির্ধারণ, শব্দ

পড়া মনে রাখার সহজ ও বৈজ্ঞানিক কিছু কৌশল !

মানুষের মস্তিষ্কের দুটি দিক রয়েছে। একটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, অন্যটি পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের আবার অনেক ভাগ। এর সঙ্গে রয়েছে নানা রকম কাজ। তার একটি হলো মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি। পৃথিবীতে বেশি আইকিউ নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। তাদের ব্যবহারিক আচরণের ওপর নির্ভর করে বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ। যত চর্চা করা যাবে, আইকিউ ততই বাড়বে। সাধারণ আইকিউ ৯০ থেকে ১১০। তবে কারো কারো আইকিউ ১১০-এর ওপরে হতে পারে। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির আইকিউ ১১০-এর ওপরে। এ আইকিউ বৃদ্ধির জন্য চর্চার বিকল্প নেই। চর্চার মাধ্যমেই একজন ছাত্র সাধারণ থেকে মেধাবী হতে পারে। মনে রাখতে না পারার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। পড়তে বসার আগে ১০ মিনিট হাঁটা: পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, পড়ার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ পরিমাণ বেড়ে যায়। তাহলে একটু হাঁটার পরেই শুরু হোক পড়ালেখা